ইজি ভিজানো পিঠা

উপকরনঃ (১৫/২০ টা পিঠার জন্য)

১। আতপ চাউলের গুড়ি                  - ৯০০ গ্রাম চালের

২। সেদ্ধ চাউলের গুড়ি                           - ১০০ গ্রাম চালের (পিঠা নরম হওয়ার জন্য)

৩। খেজুরের গুড়                                - দেড় কেজি

৪। দুধ                                          - আড়াই লিটার

৬। এলাচ                                       - ২ টা

৭। দারচিনি                                     - ১ ইঞ্চি মাপের ২ টুকরা

৮। লবণ                                        - ১ চা চামচ

৯। পানি                                        - দুই লিটার

১০। চিতই পিঠা বানাবার পাত্র (মাটির বা লোহার)- ১ টা

১১। পিঠা ভিজাবার জন্য ঢাকনা সহ ডেকচি - ১ টা

প্রস্তুত প্রণালীঃ

১। দুধের সাথে এলাচ ও দারচিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে দিয়ে ঘন করি। প্রায় দেড় লিটার পরিমান হলে নামিয়ে রাখি।

২। একটি বড় পাত্রে পানি দিয়ে চুলায় দেই। ফুটে উঠলে গুড় ভেঙ্গে দিয়ে জ্বাল দিতে থাকি। গুড় গলে সিরা হওয়া পর্যন্ত জ্বাল দিতে থাকি। সিরা তৈরী হয়ে গেলে চুলার আচ একেবারে কমিয়ে দিয়ে একটা তাওয়ার উপরে হাড়িটি ঢেকে রেখে দেই।

৩। কুসুম গরম পানির সাথে লবন দিয়ে উভয় প্রকার চালের গুড়ির মিশ্রন ঘন করে গুলিয়ে গোলা বানিয়ে ৫/৭ মিনিট রেখে দিতে হবে। বেশি শীতের সময় পানির তাপ একটু বেশি হলে ভাল হয়। গোলা যেন বেশি পাতলা বা ঘন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। প্রয়োজন মনে করলে অল্প একটু খোলায় দিয়ে টেস্ট করে নেয়া যায়।

৪। এবার পিঠার খোলা চুলায় চাপিয়ে গরম হলে চালের গোলা ভাল করে নেড়ে নারকেলের ডাবর দিয়ে গোলা আস্তে আস্তে খোলায় ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এখানে লক্ষ্যনীয় যে গোলা ঢালার সময় চুলার আচ একটু বাড়িয়ে দিতে হবে এবং ঢেকে দেবার পর আচ একটু কমিয়ে দিতে হবে।

৫। ৪/৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখতে হবে পিঠা কিছুটা ফুলে উঠেছে কি না এবং চারপাশে ঝাজরির মত ছিদ্র ছিদ্র হলে বুঝতে হবে পিঠা হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ পিঠা ঝাজরির মত ছিদ্র ছিদ্র হলে পিঠা ভাল ভাবে রসে ভিজে নরম হবে।

৬। এবার একটু আচ বাড়িয়ে খুন্তি দিয়ে পিঠা তুলে পাশের উনুনে রাখা রসের হাড়িতে দিয়ে ঢেকে দেই।

৭। এই ভাবে একে একে সব পিঠা হয়ে গেলে আলাদা করে রাখা জ্বাল দেয়া দুধ দরকার হলে কুসুম কুসুম গড়ম করে রসে ডোবানো পিঠার হাড়িতে ঢেলে কাঠি দিয়ে নেড়ে মিশিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন পিঠা কোন অবস্থাতেই রসের উপরে জেগে না থাকে, অন্তত দুই আঙ্গুল বা এক ইঞ্চি পরিমান নিচে থাকবে। তা না হলে পিঠা ভাল করে ভিজতে না পেরে শক্ত থাকবে। 

৮। রসের পিঠা সাধারনত রাতে তৈরী করে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে টেবিলে বা রোদে মাদুরে বসে পরিবেশন যোগ্য হয়।